খাস খবর, বিধাননগর: কফ, কাশির উপশমে যে সিরাপ চিকিৎসকেরা লিখে দেন, সেটিকে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করেই নেশায় বুঁদ হচ্ছে যুব সমাজ৷ বাংলাদেশে এই প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে৷ তারই জেরে আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীদের কাছে ক্রমেই বাড়ছে এরাজ্যের কাশির সিরাপ ফেনসিডিলের চাহিদা৷ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ সূত্রেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷
সোম ও মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁরা এক হাজারেরও বেশি কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছে৷ যার ভারতীয় বাজার মূল্য প্রায় দু’লক্ষ টাকা! ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতারও করেছেন জওয়ানেরা৷
ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ফেনসিডিল এক ধরণের কফ সিরাপ৷ হুগলির ডানকুনিতে এই সিরাপ তৈরির একাধিক কারখানাও রয়েছে৷ সেখান থেকে এই কফ সিরাপ চোরাপথে সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছায়৷ তারপর বাংলাদেশের বাজারে চড়া দামে ছড়িয়ে পড়ে এই কফ সিরাপ৷
মূলত, নেশা করার জন্যই এই সিরাপ চোরা পথে চালান করা হয়৷ সোমবার গোপন সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর আসে যে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের আম বাগান দিয়ে ফের ফেনসিডিল পাচার করা হবে৷ এরপরই অভিযানে নামে বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটলিয়নের জওয়ানরা৷
জানা গিয়েছে, পাচারকারী দলটিতে একাধিক সদস্য ছিলেন৷ আম বাগানে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের চ্যালেঞ্জ জানায় এবং ৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের নাম, দুরুল মিঞা৷ বাড়ি, মালদহর কালিয়াচক থানার দুইসতবিঘি গ্রামে৷
বিএসএফের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, কাশির কফ সিরাপ পারাপার করার জন্য ব্যাগ পিছু ১০০০টাকা করে পেত সে৷ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিনোদপুরে সেলিম শেখের হাতে এগুলি তুলে দেওয়ার কথা ছিল৷ সেলিম ওপারের চোরা চালানকারীদের পান্ডা৷
বাংলাদেশ সীমান্ত পুলিশকে ইতিমধ্যেই সেলিমের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন বিএসএফ জওয়ানেরা৷ ওই রাতেই আন্তর্জাতিক সীমান্তের খেড়াপাড়া গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখানে সন্দেহভাজন ০৪ – ০৫ জন চোরাচালানকারী ছিল৷
তারা পালিয়ে যায়৷ জঙ্গল থেকে প্রায় ৭৪৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন জওয়ানেরা৷ এদিকে অন্য একটি ঘটনায় ২১৫ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করেছেন জওয়ানেরা৷ পরে বাজেয়াপ্ত ফেনসিডিল ও ধৃত ব্যক্তিকে স্থানীয় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা৷