খাস খবর ডেস্ক: দেশজোড়া সমালোচনার মাঝে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল গো-বিজ্ঞান পরীক্ষা। পরীক্ষার আয়োজক রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ এই মর্মে নোটিশও জারি করেছে। বৃহস্পতিবার অনলাইনে গরু বিষয়ক এই সরকারি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় গরু নিয়ে উচ্চতর গবেষণার ক্ষেত্র খুলে দিতে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ এই পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। আবেদনকারীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষা আয়োজন করার কথা বলা হয়। পাশাপাশি ইউজিসির তরফে গরু বিষয়ক এই পরীক্ষায় বসার জন্য পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতেও বলা হয়।
এদিকে পরীক্ষা সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০ তারিখ আয়োগের সভাপতি বল্লভভাই কাঠিরিয়া তাঁর দু’বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়। তারপরই পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ দেওয়া হয়। তবে ঠিক কী কারণে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হল তা আয়োগের তরফে জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, দেশের পশুকল্যাণের জন্য ২০১৯–’২০ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ’–এর নাম অন্তর্ভুক্ত করে আর্থিক বরাদ্দের বন্দোবস্ত করেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ, পশুপালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা হিসেবে কাজ করে আয়োগ।
এই পরীক্ষার সম্পর্কে কাঠিরিয়া একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন। কাঠিরিয়ার দাবি ছিল, দেশের অর্থনীতিতে গরুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকী কোনও গরু যদি দুধও নাও দেয় তার প্রস্রাব ও গোবরও কিন্তু মূল্যবান। এগুলি ব্যবহার করলে অর্থনীতিই সঠিক পথে থাকবে।
এদিকে পরীক্ষার পাঠক্রমও প্রকাশ করেছিল আয়োগ। ৫৪ পাতার সেই পাঠ্যক্রমে ভারতীয় গরুদের প্রশস্তির পাশাপাশি গোবরের উপকারিতা-সহ নানা বিষয়ের উল্লেখও ছিল। গোহত্যার সঙ্গে ভূমিকম্পের সম্পর্কের কথাও পাঠক্রমে বর্ণনা করা হয়েছিল। তবে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়ে নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে পাঠক্রম মুছে ফেলে আয়োগ।
আর এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করল তারা। নোটিশে কোনও কারণ দেখানো না হলেও মনে করা হচ্ছে দেশজোড়ে সমালোচনার মুখে পরেই এই পরীক্ষা বন্ধ রাখছে কেন্দ্র।