খাস খবর, কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজী ওরফে লালার দেখানো পথেই হাঁটল শাসকদল তৃণমূল৷ সিবিআইয়ের তদন্তের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলল তাঁরা৷ দলের তরফে মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে রীতিমতো হলফনামা জমা দিয়ে এই আবেদন জানানো হয়৷ আদালত সূত্রের খবর, শীঘ্রই ওই মামলার শুনানি হবে৷
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে কয়লা খনন এবং আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর সিবিআই তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধান অভিযুক্ত লালা৷ যদিও লালার সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছিলেন, কে তদন্ত করবে তা অভিযুক্ত ঠিক করে দিতে পারে না৷ যথাযথ এবং নিরপেক্ষ তদন্তই সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মামলায় তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে ‘সাধারণ সম্মতি’ নিতে হয়৷ কিন্তু ২০১৮ সাল থেকেই তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য৷ স্বভাবতই এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই এদিন শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য৷ হলফনামায় তাঁদের দাবি, এই মামলা সিবিআই তদন্তের উপযুক্ত নয়৷ সূত্রের খবর, শীঘ্রই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিযুক্ত অনুপ ওরফে লালাও৷
যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে কয়লা খনন, পাচার ও বেআইনি অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে একটি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই৷ ওই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা ও শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের নাম৷
প্রসঙ্গত, অতীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সমাবেশ থেকে একাধিকবাবর অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন এলেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পাঠিয়ে ভয় দেখানোর রাজনীতি শুরু করে কেন্দ্র৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে শাসকদল৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরার নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই এবার রাজনৈতিক ও আইনি পথে সরাসরি সংঘাতের পথেই যেতে চাইছে শাসকদল৷ যদিও এবিষয়ে একটি শব্দও খরচ করতে নারাজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় এক নেতা অবশ্য এবারের ভোটের জনপ্রিয় স্লোগান আওড়ে বলেছেন, ‘‘খেলা তো সবে শুরু হল, দেখতে থাকুন আর কি কি হতে থাকে!’’