খাস খবর ডেস্ক, হাওড়া: উলোট পুরাণ! মাস খানেক আগেও যাঁকে দেখলে কর্মীরা দাদা, দাদা করে ছুটে যেতেন সেই দাদারই এখন পরিচয়, ‘নিমক হারাম’, ‘বিশ্বাসঘাতক’!
হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনা৷ দলবদলে রাতারাতি বন্ধু থেকে শত্রুতে বনে গিয়েছেন পরিণত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারই নিটফল, নিজের খাসতালুকেই কালো পতাকা দেখতে হল সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ রবিবার সন্ধেয় বালিহল্ট থেকে জয়পুর পর্যন্ত তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল ছিল৷ সেই কর্মসূচিতে অংশ নেন রাজীব৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেট্রোপণের বিরুদ্ধে বিজেপির মিছিল এগোচ্ছিল রাস্তা দিয়ে৷ রাজীবকে দেখার পরই রাস্তার ধারে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন৷ দেখানো হয় কালো পতাকা৷ সঙ্গে ‘নিমক হারাম’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ এর স্লোগান৷ ফলে পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা৷ দু’পক্ষের মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ারও পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ ছড়ায় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা৷
পরে রাজীববাবু বলেন, ‘‘আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গেছে৷ তাই এরকম অসভ্যতা করল৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলার মানুষ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চান না৷ মানুষ এদের ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে৷ ফলে পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই তৃণমূল ভোটের আগে এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে৷’’ যদিও পাল্টা বক্তব্য ভেসে এসেছে তৃণমূলের দিক থেকে৷
ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার তৃণমূল নেতা, কর্মীরা বলেন, ‘‘বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাসঘাতকই তো বলেছি৷ উনি যদি আমাদের সরকারে থেকে কাজই করতে পারছিলেন না, তাহলে সেটা প্রথমে বললেন না কেন? সারা বছর লুটে পুটে খেয়ে ভোটের আগে মোটা টাকায় অন্য দলের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়ে এখন বড় বড় কথা বলছেন৷’’
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রাজ্যের জেলায় জেলায় এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ডোমজুড় বিধানসভা এলাকাতেই টহল শুরু করেছেন তাঁরা৷ আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসতে চলেছে আরও ১২৫ কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ রাজীবের কথায়, ‘‘যতই কালো পতাকা দেখাক, এবারে আর ছাপ্পার ভোট হবে না৷ ওদের পতন এবার অনিবার্য৷ ’