খাস খবর, বিধাননগর: শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ কিন্তু কথা রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী৷ এরই প্রতিবাদে এবং চাকরির দাবিতে নিজেদের ডিএলএড সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দিলেন আন্দোলনকারীরা৷ সোমবার দুপুরে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল সল্টলেক আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ভবন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সমস্ত বঞ্চিত পূর্ণ প্রশিক্ষিত ডিএলএড প্রার্থীদের অবিলম্বে সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৪০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাঁরা আর সরকারি চাকরি পাবেন না৷ এদিন সকাল থেকে সল্টলেক এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন প্রায় প্রায় শতাধিক ডিএলএড প্রার্থী৷
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সরকার বলেছিল ডিএলএড পাশ হলে তবেই প্রাইমারিতে চাকরি৷ সেই মতো ২০১৪ সালে তাঁরা টেড পাশ করার পর প্রাইমারি স্কুলে চাকরির জন্য ডিএলএড কোর্স করেছিলেন৷ কিন্তু তারপরেও চাকরি হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ বিভিন্ন দফতরে দফতরে ঘুরেও মেলেনি সুরাহা৷
প্রতিবাদে শুরু হয় জেলায় জেলায় ডিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ৷ দীর্ঘ আন্দোলনের পর শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আগামী দিনে প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে শূন্য ১৬ হাজার ৫০০ টি পদের মধ্যে তাঁদের সাড়ে পাঁচ হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হবে৷
অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মত কোনও কাজ হয়নি। ডিএলএড করার পরেও চাকরি মিলছে না৷ অথচ বিএড করা অর্ধ শিক্ষিত প্রার্থীদের অস্বচ্ছভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বঞ্চনা, বৈষ্যমের প্রতিবাদেই আমাদের আন্দোলন৷ যদিও এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষা দফতরের কোনও আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ ফলে আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেয়- সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল৷