পন্ডিচেরি: বিধানসভা ভোটের মুখে পন্ডিচেরিতে বড় বিপর্যয় নেমে এল কংগ্রেস শিবিরে৷ আস্থা ভোটে হেরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী৷ এরপরই ইস্তফা দেন তিনি৷ সরকারের পতনের জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করেছে কংগ্রেস৷ অভিযোগ, বিজেপির অপারেশন কমলের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে হয়েছে নারায়ণস্বামীকে৷
গত দু’মাসে কংগ্রেসের চারজন বিধায়ক দল ছাড়েন৷ তারপর থেকেই টলমল কংগ্রেস সরকার৷ জানুয়ারিতে দলত্যাগী দু’জন কংগ্রেস বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে৷ কিন্তু রবিবার আরও দুজন ইস্তফা দিতেই বিজেপি আস্থা ভোটের দাবি তোলে৷ জানায়, সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে৷ তাদের বিধায়ক সংখ্যা নেমে এসেছে ১২-তে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে দরকার ১৪টি আসন৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সরকার চালানোর মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা তাঁর রয়েছে৷
সম্প্রতি পন্ডিচেরির উপরাজ্যপাল পদ থেকে সরানো হয়েছে কিরণ বেদিকে৷ তাঁর জায়গায় ওই পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন৷ নির্বাচনের মুখে কিরণ বেদির অপসারণ ঘিরে জোর জল্পনা ছড়ায়৷ নারায়ণস্বামীর অভিযোগ, বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিরণ বেদি৷ সরকারের প্রতিটা কাজে তিনি বাধা দিচ্ছিলেন৷ কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা সরকার অবধি পৌঁছচ্ছিল না৷
রবিবার দল ছাড়েন কংগ্রেসের চারবারের বিধায়ক কে লক্ষ্মীনারায়ণ৷ পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, দলে যোগ্য সম্মান পাচ্ছিলেন না৷ স্পিকার অথবা মন্ত্রী কোনওটাই করা হয়নি৷ ডিএমকেরও এক বিধায়ক কে বেঙ্কটেশন৷ ২০১৬ সালে ডিএমকে-র তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস৷ এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে সোমবার আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেন উপরাজ্যপাল৷
সোমবার আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় সরকার৷ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন নারায়ণস্বামী৷ কর্নাটকের পর দক্ষিণী ভারতের পন্ডিচেরিতেই ক্ষমতায় টিকে ছিল কংগ্রেস৷ ভোটের মাত্র তিন মাস আগে সরকারের পতন হওয়ায় বিজেপির সুবিধা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ এখন উপরাজ্যপালের কাছে দুটো রাস্তা খোলা৷ তিনি এনআর কংগ্রেসকে ডেকে সরকার গঠন করতে বলতে পারেন৷ অথবা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করতে পারেন৷