খাস খবর, কলকাতা: রাজনীতি থেকে অব্যহতি চাইলেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী৷ যদিও এবিষয়ে একটি কথাও বলতে নারাজ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তাঁর কথায়, ‘‘চিরঞ্জিতদা অন্য জগতের মানুষ৷ আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি৷ এটা ওঁনার আর মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের বিষয়৷ আমি এবিষয়ে কিছু বলব না৷’’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রের টানা ২ বারের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ৷ তবে এবারে আর ভোটে লড়তে চান না৷ এমনকি রাজনীতি থেকেও অব্যহতি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের কাছে। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না৷ সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাতে চান৷
নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন, পালাবদলের আগে থেকেই বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠবৃত্তে থাকা বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিৎ হয়তো ভবিষ্যতটা পড়ে ফেলেছেন৷ বুঝতে পারছেন- এবারের যা পরিস্থিতি তাতে দাঁড়ালেও হারতে হতে পারে৷ তাই হয়তো আগাম আন্দাজ করে নিজে থাকতেই সরে গেলেন৷
এদিকে ট্রেড ফেয়ার গ্রাউন্ডে বেঙ্গল চেম্বার অব কর্মাসের তরফে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ফেয়ারের আয়োজন খতিয়ে দেখতে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম চিরঞ্জিৎ সম্পর্কে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে বেঙ্গল চেম্বার অব কর্মাসের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘কোভিডের জন্য প্রায় ১ বছর আমরা মুখ ঢেকে ছিলাম৷ সব কিছু বন্ধ ছিল৷ বেঙ্গল চেম্বারস অব কর্মাসের এই আয়োজনের অর্থ বাংলার ব্যবসাকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷’’
একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ৩৪ বছরে বাংলায় সমস্ত ইন্ড্রাস্ট্রির সামনে লাল লাল ঝাণ্ডা ছিল৷ লাল ঝাণ্ডা মানে সব বন্ধ৷ মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন- বাংলায় এখন আর হরতাল হয় না৷ কর্মদিবস নষ্ট হয় না ফলে বাংলা এগোচ্ছে৷