মুম্বই: গোটা বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে ছাড়পত্র পেল সেরাম ইন্সটিটিউট। কম শক্তিশালী দেশগুলিকেই মূলত ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেরাম দ্বারা প্রস্তুত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকেবায়ো দ্বারা প্রস্তুত ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হু-এর তরফের অনুমোদনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘কোভ্যাক্স’ উদ্যোগের আওতায় ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন যাতে সর্বত্র পৌঁছে যায় সেই জন্য ১৯০টি দেশ এই কর্মসূচিতে যোগদান করেছে।
সেরামকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, অর্থনৈতিকভাবে কম শক্তিশালী দেশগুলিকে ৩ ডলারে একটি করে করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হবে। অক্সফোর্ড ছাড়াও ফাইজার এবং বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ।
জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল সেজ তা পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখলে অনুমোদন দেওয়া হয়। যে সকল অর্থনৈতিকভাবে কম শক্তিশালী দেশ এখনও করোনা টিকাকরণ শুরু করতে পারেনি তাঁদের জন্য সুখবর শোনাল হু। সেইসব দেশগুলিও শুরু করবে ভ্যাকসিনেশন।
অর্থনৈতিকভাবে কম শক্তিশালী দেশগুলিকে এই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে হু-এর চিন্তা সুরক্ষা, গুণগত মান এবং কার্যকারিতা। এই অনুমোদনের ফলে দেশগুলি নিজেদের প্রয়োজন মতন ভ্যাকসিন আমদানি করার সুযোগ পাবে। চার সপ্তাহের পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া চালিয়ে এই শেষমেশ সুখবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রসঙ্গত, একমাসের কম সময়ে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা কানাডায় পৌঁছে দেবে সেরাম ইন্সটিটিউট, এমন সুখবর শোনাল সেরাম চিফ এক্সিকিউটিভ। আদর পুনাওয়ালা এ বিষয়ে ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আমরা কানাডার রেগুলেটরি বডির ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। তবে আশ্বাস দিচ্ছি কোভিশিল্ড করোনা ভ্যাকসিন একমাসের কম সময়ে কানাডাকে পৌঁছে দেবে। এই বিষয়ে কাজ চলছে”। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার বিষয়ে উল্লেখ করে এদিন ট্যুইট করেন পুনাওয়ালা।
একের বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম ভারত বিশ্বের বহু দেশকে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে এখনও সাহায্য করেছে। বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম ভ্যাকসিন সরবরাহকারী দেশ ভারত। কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। ২১ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে কানাডায় এখনও কোনও ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামো নেই, অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল কানাডা।
গতসপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে কানাডাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহে কানাডার পাশে দাঁড়াবে ভারত। ভ্যাকসিন ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করবে ভারত। এখনও অবধি কানাডার তরফে ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।