হিজাবের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাল মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সরকার

0
298

জাকার্তা: অমুসলিম মহিলাকে বলপূর্বক বাধ্য করা হচ্ছিল মাথায় হিজাব চাপিয়ে নিতে। অমুসলিম হয়ে ইসলামিক পোশাক গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করায় নানাবিধ জটিলতার স্বীকার হতে হয়েছিল। যার ফলে কড়া ব্যবস্থা নিল প্রশাসক। দেশ জুড়েই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল বাধ্যতামূলক হিজাব।

আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ড গ্লেসিয়ার বিস্ফোরণে নিখোঁজ পূর্ব মেদিনীপুরের যুবক

- Advertisement -

ঘটনাটি কোনও ভারত বা কোনও অমুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের নয়। হিজাব নিষিদ্ধ করার মতো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। সে দেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। বিশ্বের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ইন্দোনেশিয়া। সেই দেশেই হিজাবের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

ঘটনার সূত্রপাত এক খ্রিষ্টান পরিবারের পড়ুয়াকে হিজাব পরতে বাধ্য করার ঘটনা ঘিরে। ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে স্কুলে বাধ্য করা হচ্ছিল মাথায় হিজাব চাপানোর জন্য। কারণ ওই স্কুলের নাকি সেটাই নিয়ম। সকল ছাত্রীকে ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী মাথা ঢেকে রাখতে হবে হিজাব দিয়ে। ওই কিশোরী হিজাব পরতে অস্বীকার করায় ডেকে পাঠানো হয় তাঁর অভিভাবকদের।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য অনুব্রতর গড়, বীরভূমে সভা করতে আসছেন নাড্ডা-রাজনাথ-যোগী

নিজেদের সন্তানের পাশেই দাঁড়ান ওই মেয়েটির বাবা-মা। স্কুলে হিজাব পরতে বাধ্য করার ভিডিও রেকর্ড করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁরা। মেয়েটির বাবা এলিয়ানু হিয়া বলেছেন, “নিত্যদিন আমার মেয়েকে মাথায় হিজাব চাপাতে বাধ্য করা হত। আমি যদি আমার মেয়েকে ইসলামিক পোশাক পরিধান করতে বাধ্য করি তাহলে তো ও নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলবে।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “সরকারি স্কুলে হিজাব পরার জন্য চাপ দেওয়া হলে আমাদের ধর্মের স্বাধীনতা কোথায়?”

বিষয়টি নজরে আসতেই নড়ে বসেছে প্রশাসন। ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক মন্ত্রী নাদিয়াম মাকারিম বলেছেন, “ধর্মীয় পোশাক ব্যবহার করা প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার। কখনই কাউকে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না।” সেই কারণেই সমগ্র ইন্দোনেশিয়া জুড়ে নিয়ম করা হয়েছে যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বাধ্যতামূলক থাকছে না। কোনও স্কুল পড়ুয়াদের হিজাব পরার জন্য চাপ দিতে পারবে না।

আরও পড়ুন- আমরা হিন্দুত্বের মোকাবিলা করতে চাই, আমেদাবাদে বিস্ফোরক আসাদুদ্দিন

এমন ঘটনা ওই দেশে নতুন নয়। জানা গিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ছয়টি রাজ্যে শিক্ষা-সহ নানাবিধ প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাকের ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। অমুসলিম হলেও ছাত্রীদের হিজাব পড়তে হতো। সেই সঙ্গে স্কুলের অমুসলিম শিক্ষিকাদেরকেও হিজাব বা বোরখা পড়ার জন্য চাপ দেওয়া হতো। সেই সকল নিয়ম খারিজ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।