নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ: তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্বের রেশ অব্যাহত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে পদ দেওয়ার অভিযোগে একদিন আগেই সরব হয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যরা। ওই নেতাকে না সরানো হলে গোটা পঞ্চায়েত নির্দল ঘোষণা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার রেশ না কাটতেই দলের পুরনো নেতা কর্মীদের বিক্ষোভের রেশ আছড়ে পড়ল রাস্তায়।
কমিটি গঠনকে ঘিরে জেলা নেতৃত্বে ধিক্কার জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভবানীপুর ব্রিজে টায়ার পুড়িয়ে জাতীয় সড়ক ও দুটি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। শাসকদলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের জেরে তেঁতে উঠল গোটা এলাকা।
হরিশ্চন্দ্রপুরে-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে অপসারণ করে পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি তৈরি করতে হবে বলেও দাবি করা হয়। এদিনের অবরোধ-বিক্ষোভে হাজির ছিলেন যারা, তারা অধিকাংশই দলের পুরনো কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, ‘পুরনো কর্মীদের দলে গুরুত্ব দূরের কথা, সন্মান দেওয়া হচ্ছে না। তারা দলকে হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অথচ সম্প্রতি যারা বিভিন্ন দল ছেড়ে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হচ্ছে’।
এদিনের অবরোধ বিক্ষোভে ছিলেন মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবুল কালাম, মকরম আলি ওরফে স্বপন। তাদের অভিযোগ, ‘ব্লক সভাপতি অযোগ্য লোকদের কমিটিতে রেখেছেন। যারা বন্যা ত্রাণের টাকা আত্মসাত করেছেন তাদের বড় বড় পদ দেওয়া হয়েছে’।
বিক্ষোভকারী নেতা কৃষ্ণ মহালদার বলেন, ”মানিক দাস কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অথচ তাকেই ব্লক সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। তৃণমূলের কাছে তিনি হেরে যান। এখন যারা তাকে হারিয়েছিলেন, বেছে বেছে তাদের বদলা নিচ্ছেন”।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ সভাপতি মানিক দাস অবশ্য বলেন, ”এই বিষয়ে যা বলার দলেএ নেতৃত্বকে বলবেন”।
তুলসিহাটার পর এদিনের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
বিজেপি নেতা অজয় গাঙ্গুলি বলেন, ”কাল পঞ্চায়েতে, আজ রাস্তায় বিক্ষোভ। দলের দ্বন্দ্ব কোথায় পৌঁছেছে তা এতেই স্পষ্ট। কিছুদিন পর দলটাই উঠে যাবে”।
এই প্রসঙ্গে জেলার কো-অর্ডিনেটর বলেন, ”বর্তমান জেলা সভাপতিও অন্য দল থেকে এসেছেন। এগুলো ছোটখাটো সমস্যা। দলের মধ্যেই আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে”।