খাস খবর ডেস্ক: শিব লিঙ্গের কন্ডোম পড়াচ্ছে বুলা দি। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় আঘাত লেগেছে ধর্মীয় অনুভূতিতে। সেই কারণে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে দায়ের হল লিখিত অভিযোগ। দেশের একাধিক রাজ্যে পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- এবার ভোটযুদ্ধে বাংলায় বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ জনসংঘের
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ওই ছবি সায়নী ঘোষের টুইটার থেকে ছয় বছর আগে পোস্ট করা হয়েছিল। সম্প্রতী সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার ভিত্তিতেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ওই কার্টুনটি পোস্ট করা হয়েছিল ২০১৫ সালের শিবরাত্রীর সময়ে। ছবিতে দেখানো হয়েছে যে শিবরাত্রী পালন করতে শিবলিঙ্গে কন্ডোম পরাচ্ছেন বুলা দি। ১৯৯৮ সালে ওই কার্টুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়েছিল এইডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য। সেই ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল শিবরাত্রীর উৎসবকে কটাক্ষ করতে। সেই ছবিই টুইট করেছিলেন সায়নী।
আরও পড়ুন- সংখ্যালঘু নাবালককে ধর্ষণ করে খুন, তীব্র উত্তেজনা কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে
খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠছে যে হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়েছেন সায়নী। এই মর্মে শনিবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। এই আইনে অভিযুক্তকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করা যায়। জামিন অযোগ্য এই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছর কারাবসের বিধান রয়েছে। এই একই কারণে অসম এবং কর্ণাটকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথাগত রায়।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন সায়নী। খাস খবরকে তিনি বলেছেন, “আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট ২০১০ সালে চালু হলেও আমি টুইটারে অ্যাক্টিভ ছিলাম না। ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত টুইটারে অ্যাক্টিভ হয়েছি।” পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়া প্রসঙ্গে সায়নী বলেছেন, “ঠিক আছে, দেখা যাবে। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
আরও পড়ুন- মুসলিমদের জেলে পুরতেই জারি লাভ জেহাদ আইন, দাবি ওয়াইসির
একই সঙ্গে সায়নী আরও বলেছেন, “আমি তেমন কোনও ছবি পোস্ট করিনি। কোনও ধর্মকে ছোট করার বা কারও ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। সম্ভবত আমার টুইটার হ্যাক করা হয়েছিল। এভাবে আমায় দমিয়ে রাখা যাবে না। ২০২১ সালে আমি যেটা মনে করি সেটাই বলি।”