নয়াদিল্লি: বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতার কে ডি সিং৷ বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷
তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতে ২০১৪ সালে রাজ্যসভায় যান কে ডি সিং৷ তাঁর অ্যালকেমিস্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে৷ এই কোম্পানির বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে বেআইনিভাবে টাকা তোলা ও লেনদেনের অভিযোগ ওঠে৷ ২০১৮ সালে অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়৷ কে ডি সিংয়ের সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি৷ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি ও চন্ডীগড়ের অফিসে তল্লাশি চালান ইডি-র আধিকারিকরা৷
ওই তল্লাশির সময় ইডি-র আধিকারিকদের লেনদেন সংক্রান্ত কিছু নথি হাতে আসে৷ অপরদিকে কেডি সিংয়ের দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩২ লক্ষ টাকা এবং ১০ হাজার ডলার উদ্ধার করে ইডি৷
অ্যালকেমিস্টের অধীনে ১৪টি কোম্পানি রয়েছে৷ অভিযোগ ওঠে, অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ ইন্ডিয়া লিমিটেড, অ্যালকেমিস্ট হোল্ডিং লিমিটেড ইত্যাদি কোম্পানির নামে বাজার থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলা হয়৷ কে ডি সিংয়ের ছেলে করণদীপ সিং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখত৷ তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, মোটা টাকা রিটার্ন দেওয়া হবে এই সব কথা বলে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তোলে অ্যালকেমিস্ট৷ এমনকী ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির নামেও টাকা তোলা হয়৷
কিন্তু যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে টাকা তোলে অ্যালকেমিস্ট তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তারা৷ উল্টে ওই টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগ করা হয়৷ কিন্তু যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে টাকা তোলে অ্যালকেমিস্ট তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তারা৷ উল্টে ওই টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগ করা হয়৷ ইডি জানিয়েছে, বাজার থেকে তোলা টাকাকেই সার্কুলার করা হত৷ যাতে তাদের প্রতারণা ধরা না পড়ে৷
কেডি সিং-এর বিরুদ্ধে শুধু এ রাজ্যে নয়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে মামলা চলছে৷ ওই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই৷ এবার তাঁকে হেফাজতে নিয়ে অ্যালকেমিস্টের তোলা টাকা কারা পেয়েছেন, বিদেশে কোন মাধ্যমে পাচার হয়েছে, কারা তার সুবিধা পেয়েছে-এ সব জানার চেষ্টা চালাবে ইডি।