ভোপাল: গত তিন দশক ধরে রাম মন্দির জাতীয় রাজনীতির অন্যতম বড় ইস্যু। যা নিয়ে নির্বাচনে বিশেষ ফায়দা তুলেছে বিজেপি। আদালতের নির্দেশ নিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই মন্দিরের ভিত পুজো করেছিলেন। সেই ঘটনার পাঁচ মাস পরে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংস্থান করতে পথে নামল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে দেশের অস্বস্তির কারণ বলায় কেন্দ্রকে তোপ রাহুল গান্ধীর
এমনই ছবি দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ওই রাজ্যের রাজধানী শহরে এক বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয় হাত শিবিরের পক্ষ থেকে। তবে নগদ টাকা গ্রহণ করা হয়নি। সম্পূর্ণ অনুদান অনলাইন প্রক্রিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের মাটিতে কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন ওই রাজ্যের নেতা পিসি শর্মা। তিনি বলেছেন, “আমরা রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছি। সকলকে অনুরোধ করেছি যা তে সবাই সরাসরি ব্যাংক মারফত রাম মন্দির ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়। কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের হাতে যেন মন্দির নির্মাণের জন্য ওই অনুদানের টাকা না দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন- জেলা সভাপতির পদ হারালেন শিশির, পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব পেলেন সৌমেন মহাপাত্র
রাম মন্দির নিয়ে দেশে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক জড়িয়েছে যুযুধান দুই পক্ষ কংগ্রেস এবং বিজেপি। পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে কংগ্রেস অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে রাম মন্দিরের বিপক্ষে সওয়াল করেছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের অনুদান সংগ্রহ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
রাম মন্দিরের শিলান্যাসের দিনে নিজের বাড়িতে ভগবান শ্রীরামের পুজো করছিলেন কংগ্রেসেরই প্রবীণ নেতা কমলনাথ। যিনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যা একটা বড় বার্তা দিয়েছিল বিরোধী শিবির এবং দেশবাসীকে। তিনি বলেছিলেন, “আজকের দিনটা আমাদের দেশের কাছে খুবই ঐতিহাসিক। প্রতিটা ভারতীয় চাইছিল অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হোক। যা আজ থেকে শুরু হল।”