খাস খবর ডেস্ক: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে এক সন্তান নীতি নিয়েছে চিন। কথায় আছে আইন থাকলে তার ফাঁকও থাকে। আর সেই ফাঁক গলেই বহুবিবাহে লিপ্ত হচ্ছে চিনা পুরুষরা। এটাই এখন চিনের নয়া ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার পিছনে রয়েছে বড় অর্থনৈতিক কারণ।
আরও পড়ুন- তৃণমূল সাংসদের তালিবানি ফতোয়া ঘিরে বিতর্ক
গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে বহু চিনা ব্যবসায়ীর নিত্য যাতায়াত শুরু হয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে। প্রায় সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে এক সুবিশাল আধিপত্য বিস্তার করেছে চিন। সেই সুবাদেই ওই দেশের স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে চিনা পুরুষদের।
আর সেই অবস্থারই সুযোগ নিচ্ছে চিনা পুরুষরা। পাকিস্তানের বহু অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা মহিলাদের টার্গেট করছে চিন থেকে আগত পুরুষেরা। মূলত পাকিস্তান থেকে চিনে গিয়ে অর্থনৈতিক সুরাহা বা জীবনে স্বচ্ছন্দ্য ফেরাতেই চিনা পুরুষদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী হতে রাজি হয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের মহিলারা। পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘু মহিলারাই হচ্ছে চিনাদের সফট টার্গেট।
আরও পড়ুন- বিজেপি জমানায় তৈরি করোনা ভ্যাকসিন নেবেন না অখিলেশ
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, গুজরানওয়ালা, মান্ডি বাহাউদ্দিন এবং ফয়সলাবাদ এলাকায় এই ধরণের ঘটনা বেশি মাত্রায় ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিয়ের পরে সমস্যা হচ্ছে মেয়েদের। চিনের মাটিতে তাঁদের শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে পাক মহিলাদের। তবে চিনের মাটিতে পাক মহিলাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওই দেশের জনবৈচিত্র বদলে যেতে শুরু করেছে।