মমতার সভায় কি থাকবেন শুভেন্দু অনুগামীরা, তুঙ্গে জল্পনা

0
464

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরাও কি থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায়? প্রশ্নটা এখন লাখ টাকার। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের কয়েকজনকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। কারও পদ গিয়েছে। আবার কারও নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কি আদৌ সভায় আসবেন। এনিয়ে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল শুভেন্দু অনুগামীদের মধ্যে।

কেউ বলছেন, আমন্ত্রণ পাননি। কেউ বলছেন, আমন্ত্রণ পেয়েছি। তবে জনতার সঙ্গে মিশে থাকব! আর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আবার আমন্ত্রণ কিসের। এমনিতেই তো সবাই আসবে। এখন দেখার, কারা এলেন আর কারা এলেন না। কারাই বা মিশে রইলেন জনতার মধ্যে।

- Advertisement -

যে মেদিনীপুর শহরে সভাটি হচ্ছে সেই মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রণব বসুর কথা। তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সদ্য পুরপ্রশাসক বোর্ড থেকে অপসারিত হয়েছেন। অপমানিত হওয়ার ভয়ে জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকে নিজেই অস্তফা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ না পেলে আমি কোথাও যায় না। এখনও সভার আমন্ত্রণ পাইনি। আমন্ত্রণ এবং পাশ পেলে অবশ্যই হাজির যাব”।

মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে ক’দিন হল। তিনিও শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও সভায় ডাক পাইনি। তবে নেত্রী আসবেন কে ডাকবে কি ডাকবে না তা আমার দেখার দরকার নেই। শ্রোতা হিসেবে আমি ওই সভায় হাজির হব”।

জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরিও শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত। ক’দিন আগেই গড়বেতায় শুভেন্দুর অরাজনৈতিক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকেও।  তিনি বলেন, ‘‘এখনও ডাক পাইনি। গত দেড় মাস ধরে দলের কোনও মিটিং এ ডাক পাচ্ছি না। যেহেতু ডাক পাইনি তাই সভায় যাওয়ার প্রশ্নই নেই”।

খড়গপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা জহর পাল জানিয়েছেন, সোমবারের ওই সভায় যেতে পারব না। কারণ শারীরিক অসুস্থতা। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ যুব নেতা স্নেহাশিস ভৌমিক বলেন, ‘‘ডাক পেয়েছি, অবশ্যই যাব। জনতার ভিড়ে মিশে থাকব”।

আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর সভা। এটা কিন্তু প্রশাসনিক সভা নয়, রাজনৈতিক সমাবেশ। মুখ্যমন্ত্রী এখান থেকেই ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করে দেবেন বলেও সূত্রের খবর।