পাটনা: জমে উঠেছে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই। প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে ছবিটা। সকালের দিকে অবিজেপি মহাজোটের দিকে পাল্লা ভারি থাকলেও বিকেলের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যায় গেরুয়া শিবির। পরে আবার দেখা যাচ্ছে উভয় পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিহারের বহু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জিতেছেন বিজেপির প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন- বিহারের নির্বাচনে চমক দেখাচ্ছে ওয়াইসির এআইএমআইএম
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে সকলের। দুপুরের দিকে দেখা গিয়েছে যে পশ্চিম বিহারের কিষানগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত এলাকায় প্রস্ফুটিত হয়েছে পদ্ম। যা অনেকের কাছেই খুব অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। কারণ গেরুয়া এবং হিন্দুত্ববাদী নেতাদের দল হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে বিজেপির। যার কারণে মুসলিম ভোট তাদের ঝুলিতে যায় না। মুসলিম ভোটারদের সমর্থন প্রত্যাশাও করে না বিজেপি। যা একাধিক বিজেপি নেতার গলায় শোনা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
এই তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করে দিল ২০২০ সালের বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। একাধিক আসনে বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন যেখানে অধিকাংশ ভোটার মুসলিম ধর্মাবলম্বী। আর সেই সকল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরা মুসলিম এমনও নয়। অমুসলিম প্রার্থীরাই জয় হাসিল করে নিয়েছেন মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায়। যা রাজনীতির ময়দানে নয়া আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির নদিয়ায়
বিষয়টির গভীরে গেলে দেখা যাচ্ছে যে এর পিছনে রয়েছে ভোট কাটাকাটির খেলা। ২০১৫ সালের মতো এবারেও বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী দিয়েছিল আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম বা মিম। সমগ্র দেশের মুসলিম ভোটারদের মধ্যে বিশেষ প্রভাব রয়েছে হায়দরাবাদের ওই রাজনৈতিক দলের। বিহারের বহু মুসলিম ভোট পেয়েছেন মিম প্রার্থীরা। পাঁচ আসনে তাঁরা এগিয়েও রয়েছেন বলে খবর মিলেছে। যার মধ্যে তিন আসনে মিম প্রার্থীদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল।
এই মিম প্রার্থীরা সর্বত্র না জিতলেও বহু ভোট পেয়েছেন। যার ফলেই বিজেপি বিরোধী মুসলিম ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছে। অবিজেপি ভোট সব মহাজোটের প্রার্থীদের ঝুলিতে যায়নি। সেখানে ভাগ বসিয়েছেন আসাদুদ্দিনের মিম প্রার্থীরা। আর সেই সুযোগটাই কাজ লাগিয়েছে বিজেপি। বহু জায়গায় জয় হাসিল করে নিয়েছেন পদ্মের প্রার্থীরা। যে সকল কেন্দ্রগুলিতে জেতার আশা হয়তো তাঁদেরও ছিল না।