বামপন্থী মহিলার নগ্ন ছবি শেয়ারকে কটাক্ষ ‘মুক্তপন্থী’ বাঙালি নেত্রীর

0
2338

সৌমেন শীল, কলকাতা: ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম। সেখানে অনেকে অনেক কিছুই পোস্ট করে থাকেন। নিজের মনের ভাবনা পাশাপাশি নিজের ছবিও পোস্ট করেন। তবে মহিলাদের নগ্ন ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা নিয়ে আপত্তি জানালেন বাঙালি নেত্রী সুলগ্না দাশগুপ্ত। যিনি বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘ঐক্য বাংলা’-র সাধারণ সম্পাদিকা।

আরও পড়ুন- ‘যদি বা কিন্তু নেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই হবেন’: অমিত শাহ

- Advertisement -

অন্যদিকে যার ছবি নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে তিনি হলেন পাঞ্চালী কর। গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে তাঁর বিভিন্ন ছবি এবং ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কের জল লালবাজার অবধি গড়িয়েছে। বিভিন্ন বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে গেরুয়া সংগঠনের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে পাঞ্চালীদেবীকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বিজেপি বিরোধী সংগঠন ‘ঐক্য বাংলা’-র নেত্রী সুলগ্না।

রবিবার সকালের দিকে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে পাঞ্চালী করের একাধিক ছবি পোস্ট করেন সুলগ্না। ছবিতে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছে পাঞ্চালীকে। সেই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে সুলগ্না দাশগুপ্ত লেখেন, “করোনা ভাইরাস যেরকম একটা শারীরিক অসুস্থতা, বমিও তো একটা শারীরিক অসুস্থতা। আপনার কারণে অন্যের করোনা ভাইরাস হতে পারে তাই আপনাকে মাস্ক পরে ঘুরতে বাধ্য করা হচ্ছে।” এরপরে রীতিমতো নীতি পুলিশের মতো মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে সুলগ্নাদেবীকে। তিনি লিখেছেন, “কিছু মানুষ আছেন যাদেরকে নগ্ন দেখলে অন্যের ভেদবমি শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের কাপড় পরে ঘুরতে বাধ্য করা হচ্ছে না কেন?”

আরও পড়ুন- সরকারি অনুদান করোনা যুদ্ধে কাজে লাগানোর বেনজির সিদ্ধান্ত মহিলা সমিতির

এই ধরণের কটুক্তি করলে পালটা জবাব আসতে পারে যে পোশাক মানুষের ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়। সেই সম্পর্কে অবগত ছিলেন সুলগ্নাদেবী। সেই কারণে ওই ফেসবুক পোস্টের শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, “কেউ প্রাইভেসির প্রশ্ন তোলার আগে বলি- এগুলি সবগুলি ই পাবলিক সেটিং এ পোস্ট করা। ওনলি ফ্রেন্ডস না।”

এই সমালোচনা প্রসঙ্গে সুলগ্না দাশগুপ্তকে পালটা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন পাঞ্চালী কর। সমগ্র বিষয়টিকে বিন্দু মাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। পাঞ্চালীর কথায়, “এই নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। উনি(সুলগ্না) পাত্তা পেতে চাইছেন তো! আমি সেটা দিচ্ছি না। এটুকুই বলতে পারি।”