ইলিশ খেয়ে স্বল্প বসনে ছবি পোস্ট শ্রীলেখার

0
622

কলকাতা: ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে বসে রয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। শরীরের প্রায় সবই উন্মুক্ত। বক্ষ যুগলের সামনে কিছুটা কাপড় দিয়ে ঢাকা। শরীরের বাকি সবই দেখা যাচ্ছে। ওয়ার্ক আউটের এমনই একটি ছবি মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা মিত্র।

আরও পড়ুন- লাস্যময়ী শ্রীলেখার কিছু আবেদনময়ী ছবি

- Advertisement -

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বেশ পরিচিত অভিনেত্রী হচ্ছেন শ্রীলেখা মিত্র। ৫০ ছুঁই ছুঁই বয়স নিয়েও পুরুষদের মনের অন্দরে ঝড় তোলার ক্ষমতা রাখেন তিনি। বহু মানুষের বিশেষ পছন্দের পাত্রী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী।

সেই অভিনেত্রীই ওই দিন দুপুরের দিকে নিজের ওয়ার্ক আউটের তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার প্রথমটিতে খুবই খোলামেলা অবস্থায় দেহা গিয়েছে তাঁকে। যা বিশেষ নজর কেড়েছে অনুগামীদের। সেই সঙ্গে আরও দু’টি ছবিও বেশ কদর পাচ্ছে। জিমের মধ্যে স্বল্প বসনের শ্রীলেখার ছবিতে রিয়্যাক্টের জোয়ার উঠেছে।

আরও পড়ুন- ‘প্রতিবাদী’ শ্রীলেখাকে ছেঁটে ফেলল মীরাক্কেল

এই ওয়ার্ক আউটের ছবির পিছনে রয়েছে অন্য কাহিনী। সাধারণত বাঙালি ভোজন রসিক হয়ে থাকে। সেই গুণের ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী শ্রীলেখা। নায়িকাদের শরীরের গঠন ধরে রাখার জন্য অনেক রকমের ডায়েট করতে হয়। সেই কারণে খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিধি নিষেধ থাকে। সোমবার বাড়িতে ইলিশ খাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রি শ্রীলেখার। সেদিন ওয়ার্ক আউটের ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টে জানিয়েও দিয়েছিলেন যে ইলিশ খাওয়ার জন্যেই মেদ ঝড়াতে বাড়তি কসরত করছেন তিনি। মঙ্গলবার ইলিশ খাওয়ার পরের অবস্থা বোঝাতে ওই তিনটি ছবী পোস্ট করেন শ্রীলেখা মিত্র।

৩০টির বেশি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। বড় পর্দায় তাঁর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ‘বাবা কেন চাকর’ ছবির মধ্য দিয়ে। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এরপরে আরও অনেক ছবিতে নায়িকার ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এখন নায়িকার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। অভিনয়ের জন্য ২০০৭ সালে আনন্দলোক পুরস্কার লাভ করেন শ্রীলেখা মিত্র। একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তিনি বিএফজেএ পুরস্কার লাভ করেন।

আরও পড়ুন- কাজ হারিয়ে নিজের জন্য সুপাত্র খুঁজছেন শ্রীলেখা

এই অভিনেত্রীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি অন্য সকলের থেকে বেশ ভিন্ন। কারণ সাধারণত দেখা যায় অভিনেত্রীদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে কমে যায় শারীরিক সৌন্দর্য্য। কিন্তু শ্রীলেখা মিত্রের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম। অল্প বয়সে এতটা জনপ্রিয়তা ছিল না শ্রীলেখার।