করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে চিন এক ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে, মন্তব্য শি জিংপিং-এর

0
2767

বেজিং: করোনা অতিমহামারী নিয়ে অনেক কিছুই গোপন করেছে চিন। এমনই অভিযোগ করেছে আমেরিকা সহ বেশকিছু দেশ। মঙ্গলবার সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং। তিনি বলেলন, “চিনে কোভিড অতিমহামারীর মোকাবিলা করা হয়েছে প্রকাশ্যে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে। তার ফলে বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।‘’ পাশাপাশি চিন যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁরা চিনের রোল মডেল, তাঁদের সম্মানিত করেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলির মধ্যে চিনই প্রথম অতিমহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে। চিনের অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে। তা থেকে বোঝা যায়, চিন কী পরিমাণ শক্তির অধিকারী।“

- Advertisement -

তিনি আরও বলেন, “চিন  একটি অসাধারণ এবং ঐতিহাসিক পরীক্ষা পাস করে এসেছে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে।”

এদিন গ্রেট হলে এই অনুষ্ঠান শুরু হয় এক মিনিটের নীরাবতা পালন করে সেই সমস্ত মানুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে যারা যারা করোনা অতিমহামারীতে প্রাণ হারিয়েছে।

এই পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চারটি পুরষ্কারের মধ্যে একটি ৮৩ বছর বয়সী ঝং নানশানকে দেওয়া হয়েছে। যিনি এই দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ। তিনি এই করোনা সংক্রমনের বিরুদ্ধে চিনের লড়াইয়ের মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। এনাকে চিনের সবথেকে সম্মানীয় মেডেল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা অতিমহামারীর প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, “বেজিং আমাদের বড় ক্ষতি করে দিল। শুধু আমেরিকা নয়, গোটা বিশ্বকেই ভুগতে হচ্ছে এর জন্য।“

করোনা মহামারী আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে আমেরিকা। আর সেই কারণেই কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউসে ‘স্পিরিট অফ আমেরিকা শোকেস’ নামে একটি অনুষ্ঠানেও চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ ছিল, চিন এমন একটা মহামারী ছড়িয়ে দিয়েছে যার বলি হতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকেই। বেজিংকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ওরাই নিয়ে এসেছে এই মহামারী। যার কারণে মৃত্যু হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।“

সেদিন ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সংক্রমণ যখন চিনে মহামারীর পর্যায়ে যাচ্ছিল সে তথ্যও সঠিক ভাবে আন্তর্জাতিক মহলকে জানায়নি চিন। বরং মিথ্যা তথ্য দিয়ে গোটা বিষয়টাকেই লঘু করে দেখাবার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, এই মারণ ভাইরাসের চক্রান্ত চিনের কমিউনিস্ট পার্টির। তারাই ভাইরাস ছড়িয়েছে, আর পরে সামাল দিতে পারেনি।

আর আমেরিকা সহ এই সমস্ত দেশের অভিযোগের জবাব দিয়ে মঙ্গলবার শি জিংপিং জানিয়েদিল করোনা নিয়ে কোনও তথ্যই লোকায়নি চিন।