নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ: ‘বন্দে মাতরম’-এর রচয়িতা ১৮৩ তম জন্মদিবস। বাংলা সাহিত্যের জগতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। এমন এক খ্যাতনাম ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে সেভাবে হয়ত উদযাপন এই বছর সম্ভব নয়। করোনার আবহে বঙ্কিমের লেখা পড়া ছাড়া উদযাপনের অবকাশ নেই। তবে এর মধ্যেই ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের ১৮৩ তম জন্মদিবস পালন করল ইংরেজবাজার পুরসভা।
জন্মদিন উপলক্ষে পথচলতি মানুষের মধ্যে কেক বিতরণ করা হল মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে। এই অনুষ্ঠনের আয়োজন করলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র পুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি। খ্যাতনামা এই সাহিত্য ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে বঙ্কিমচন্দ্রকে স্মরণ করে এবং শ্রদ্ধা জানিয়েই পালন হল এই অনুষ্ঠান।
শনিবার সকাল নয়টা নাগাদ এই অনুষ্ঠানটি পালিত হয় ইংরেজবাজারে। বঙ্কিমচন্দ্রের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্কিম স্মরণে মেতে ওঠেন সকলে। মাল্যদানের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক নিহার রঞ্জন ঘোষ-সহ অন্যান্যরা।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৭ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে।
১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ অর্থাৎ ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ এপ্রিল মাসিক বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সেই সময়ে অবিভক্ত বাংলায় কোনো উন্নত মানের সাময়িকপত্র ছিল না। ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১২৮২ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস অবধি এর সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর লেখা সেরা উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে- দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম ইত্যাদি।