কলকাতাঃ কলকাতার বউবাজারের উদয়ন হোস্টেলে যুবককে পিটিয়ে খুন(Bowbazar Case)। হোস্টেলের ভেতরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। যুবকের নাম এরশাদ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে প্রাথমিক তদন্ত করছে পুলিশ। হোস্টেলের আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, একদিকে যখন এরশাদ আলমকে ধরে মারধর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, তখনই ওই হোস্টেলের তিন জন আবাসিক গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছিল।
পুলিশ সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় এরশাদ ওই এলাকায় কফি কিনতে গিয়েছিল। তখনই স্থানীয় এক মুদি ব্যবসায়ী বলে ওঠেন, চোর যাচ্ছে। সেকথা শুনতে পেয়েই হোস্টেলের কয়েকজন আবাসিক রাস্তা থেকে এরশাদকে হোস্টেলের ভিতরে তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদয়ন হোস্টেল থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ১২ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া এবং বাকি দু’জন প্রাক্তন ছাত্র। ওই প্রাক্তন ছাত্রদের কথামতোই ওই যুবককে মারধর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে চাঁদনী চক এলাকায় টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন এরশাদ আলম। গতকাল ফোন করে এরশাদ ১০ হাজার টাকা আনতে বলেন দোকানের মালিককে। সেই ফোন পাওয়ার পরে দোকানের মালিক বৌবাজার থানার পুলিশকে নিয়ে ওই হোস্টেলে যায়। কিন্তু হোস্টেল বৌবাজার থানার অন্তর্গত না হওয়ার কারণে হোস্টেলের তালা খোলা হয়নি। পরবর্তীতে ওই দোকান মালিক মুচিপাড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গেলেও প্রায় ১০-১৫ মিনিট পরে গেট খোলা হয় হোস্টেলের। হোস্টেলে ঢুকে এরশাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।