দিপু মিয়া ও অরিন্দম দে, রামপুরহাট: বর্তমানে বেড়েই চলেছে চোলাই মদ তৈরির ব্যবসা। আবগারি দফতরের (Excise Department) আধিকারিকেরা অভিযান চালায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায়। এরকমই এক তল্লাশির খবর মিলল বীরভূম জেলার ডুরিয়া গ্রামে।
বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমানে চোলাই মদ ও মদ তৈরির কাঁচামাল। আবগারি দফতর (Excise Department) বাজেয়াপ্ত করল সেই সমস্ত কাঁচামাল। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) জেলার মুরারোই থানার অন্তর্গত ডুরিয়া গ্রামে। এইদিন অভিযান চলে ঝাড়খন্ড (Jharkhand) লাগোয়া এই গ্রামে। অভিযান চালায় রামপুরহাট (Rampurhat) রেঞ্জের আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা (Excise Department Officers)। সঙ্গে নিয়ে যায় মুরারোই থানার পুলিশকে। গ্রামের বেশ কয়েকটি চোলাই মদের ঠেকে অভিযান চালায় আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, মদের ঠেক থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েকশো লিটার চোলাই। বাজেয়াপ্ত করা হয় চোলাই মদ তৈরির বিভিন্ন উপকরণ এবং যন্ত্রপাতি। তবে কোন চোলাই কারবারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এক আবগারি দফতরের আধিকারিক পার্থ ঘোষ বলেছে, ” আবগারি দফতরের (Excise Department) তরফ থেকে বৃহস্পতিবার এই ডুড়িয়া গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। মুরারোই থানার অন্তর্গত এই গ্রামটি প্রায় ঝাড়খন্ড (Jharkhand) বর্ডারের কাছাকাছি অবস্থিত। এখানে চোলাই হয় বহুদিন থেকেই। তাই আমরা মাঝে মধ্যেই এই গ্রামে অভিযান চালাই। এইদিন সেরকমই এক অভিযান চলেছে। বেশকিছু চোলাই মদ এবং চোলাই মদ তৈরির কাঁচা মাল উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।”
আবগারি দফতরের আধিকারিক বলেন, “মিত্রপুর নামে এক গ্রাম আছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে চোলাই হত। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া গিয়েছে। এখানেও আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এরকম অভিযান এখানে মাঝে মধ্যে চলতেই থাকবে।” এক সাংবাদিক আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, এটি ঝাড়খন্ড (Jharkhand) লাগোয়া একটি গ্রাম। এখানে প্রায় সব বাড়িতেই মদ তৈরি করা হয়। এখানে ব্যবসায়ীদের মদেরই ব্যবসা। এটা আজ পর্যন্ত বন্ধ করা গেল না কেন? আবগারি দফতরের আধিকারিক উত্তরে বলেন, “এই গ্রামটি আমাদের প্রধান অফিস থেকে অনেকটাই দূরে। তাই যথার্থভাবে অভিযান চালানো যায় না। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সদইচ্ছা এবং সহযোগিতা থাকলে এই কাজ বন্ধ করা যাবে।”