শাহজাহান আলী, পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলা হোক বা শহর৷ যাত্রীরা জানযটের কারণ হিসেবে দায়ী করে টোটো চালকদের৷ এই চিত্র ব্যতিক্রম হয়নি পশ্চিম মেদিনীপুরে৷ রাস্তার ধারণ ক্ষমতার থেকে বেড়ে যাচ্ছে টোটোর সংখ্যা৷ যার জেরে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের৷
টোটো চালকদের দৌরাত্ম্যে শাসকদলের নেতাকর্মীদের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে৷ লোকসভা নির্বাচনের পরে সেই টোটোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন৷ কোপ আসছে বুঝে তার আগেই টোটো চালকেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে নামলেন রাস্তায়৷
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে ইরিক্সা অপারেটর ইউনিয়নের ডাকে একটি বিক্ষোভ মিছিল অভিযান হয়৷ মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে টোটো চালকেরা সমবেত হয়েছিলেন সংগঠনের ডাকে৷ সেখানে শতাধিক টোটো চালকেরা মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় মিছিল করেন রিং রোডে৷
মিছিল শেষ হয় জেলা শাসকের দফতরে তথা কালেক্টরেট মোড়ে৷ নিজেদের একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখান শুরু করেন তাঁরা৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্পাদক সুমন দাস বলেন, “২০১৯ সালে প্রশাসন একটি বৈঠক করে আমাদের জানিয়েছিল কোনো রকম রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া আর মেদিনীপুরে কোনো টোটোকে অনুমতি দেওয়া হবে না৷ মেদিনীপুরে পরিবহন দফতরের দেওয়া অনুমতি নিয়ে টোটো চলছে ২৮৩ টি, পুরসভার দেওয়া নম্বর নিয়ে চলছে ৫৮৮ টি৷ কিন্তু তারপরেও বিনাঅনুমতির টোটো রয়েছে কয়েক হাজার৷ প্রশাসন অবিলম্বে ব্যাবস্থা নিয়ে শহরের যানজট সমস্যাগুলি মিটিয়ে দিক৷”
বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরুপ দাস৷ তিনি বলেন, “ভাবের ঘরে চুরি করছে ওরা৷ টিএমসি-র ইউনিয়ান নাকি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে৷ এটা নতুনভাবে টুপি পরানোর চেষ্টা জনগণকে৷ মানুষ এসব বোঝে৷”