খাস খবর ডেস্ক: নতুন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যার চরিত্র অনেকটা পৃথিবীর-ই মত। এটি পৃথিবীর মতই রুক্ষ এবং পাথুরে, যে কোনও বড় গ্রহের মত পুরোপুরি গ্যাসীয় নয়। তবে পৃথিবী থেকে এটি ৪ গুণ বড়। ফলতঃ এই exoplanet কে ‘Super Earth’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
আরও যেটা উল্লেখযোগ্য, এই গ্রহ আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৬.৪ আলোকবর্ষ দূরে-ই অবস্থিত। Ross 508 নামক একটি লাল বামন তারাকে (Red Dwarf Star) প্রদক্ষিণ করছে। আর গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে, Ross 508b।
Ross 508b-কে দ্বিতীয় পৃথিবী বা বৃহত্তর পৃথিবী বলার কারণ আর কিছুই নয়। এটি নিজের নক্ষত্রের হ্যাবিটেবল জোনে অবস্থান করছে। হ্যাবিটেবল জোন বলা হয় সেই দূরত্বকে, কোনও গ্রহ তার নক্ষত্র থেকে যে দূরত্বে থাকলে তাতে প্রাণ বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা বিরাজ করে। পৃথিবী-ও সূর্যের হ্যাবিটেবল জোনে-ই অবস্থিত।
অবশ্য নিজ নক্ষত্রের হ্যাবিটেবল জোনে থাকলেই যে কোনও গ্রহে প্রাণ থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পৃথিবীর মত মঙ্গল-ও সূর্যের হ্যাবিটেবল জোনে অবস্থান করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লালগ্রহে প্রাণের কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীর দল। স্বাভাবিকভাবেই তাই Ross 508b-কে নিয়েও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: যতটা ধারণা করা হয়েছিল, তার থেকেও বেশি জল মঙ্গলগ্রহে, জীবনও আছে কী
যা জানা যাচ্ছে তা হল, Ross 508b যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে, সেই Ross 508 আমাদের সূর্যের থেকে অনেকটাই ছোট। সূর্যের ভরের প্রায় ১৮ শতাংশ এই লাল বামন নক্ষত্রটির ভর। যাকে Ross 508b মাত্র ১০.৭৫ দিনেই একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে Ross 508-কে সবথেকে ক্ষুদ্র এবং অস্পষ্ট নক্ষত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। Radical Velocity -র মাধ্যমে একে আবিষ্কার করা গিয়েছে। আর Ross 508b গ্রহটি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের National Astronomical Observatory of Japan -এর Subaru Telescope -এর মাধ্যমে প্রথম নজরে এসেছিল।