‘হীরক রাজা’ থেকে ‘আগন্তুক’, অভিনয়ের যাদুকর উৎপল দত্ত

0
299

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: ‘আমি শিল্পী নই… আমি মনে করি আমি প্রোপাগান্ডিস্ট।’ নিজেকে এইভাবেই পরিচয় দিতেন তিনি। মঞ্চে তাঁর দীপ্তমান অভিনয় মুগ্ধ নয়নে উপভোগ করতেন দর্শকরা। প্রতিটি সংলাপ ও অভিনয় গুণে করতালির রোল উঠত প্রেক্ষাগৃহে। সিরিয়াস চরিত্রে যেমন অভিনয় করতেন, তেমনই সাবলীল ছিলেন কমেডি চরিত্রতেও।

আরও পড়ুন- শামসুর রহমানের কলমে ‘বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে’

- Advertisement -

তাঁর মতো ‘আগন্তুক’ ‘টিনের তলোয়ার’ কোমরে ঝুলিয়ে অভিনয়ের দাপটে মাত করবেন মঞ্চ থেকে বড় পর্দা। এখনও দৃশ্য দেখার বাসনা মানুষের মনে।

সেই মহান ব্যক্তি উৎপল দত্তের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে ফাঁকা মঞ্চ তার ‘পৃথ্বীরাজ’-এর অপেক্ষায়। এই মঞ্চ দিয়েই অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন উৎপল দত্ত। ১৯৫০ সালে সিনেমায় পদার্পণ করেন তিনি। তারপর সমান তালে নাটক ও সিনেমায় দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন এই দাপুটে অভিনেতা।

শুধু সিরিয়াস নয়, কমেডি জগতেও সমান তালে অভিনয় করে গেছেন। তিনি কৌতুক চলচ্চিত্র গুড্ডি, গোলমাল ও শাউকীনে অভিনয় করেছেন। ভিলেন চরিত্রেও তিনি দাপট দেখিয়েছেন, ‘মগনলাল মেঘরাজ’-এর গলা কিংবা ‘হীরক রাজার দেশ’-এ ছড়া দাগ কেটে গেছে মানুষের মনে।

তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। ১৯২৯ সালে ২৯ মার্চ মাসে অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন উৎপল দত্ত। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। উৎপল দত্ত ছিলেন সব ধরনের অভিনয়ে স্বচ্ছন্দবিহারী।

বাংলা পথনাটকের পথিকৃৎ উৎপল দত্ত ১৯৯৩ সালের ১৯ আগস্ট, আজকের এই দিনে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মাত্র ৬৪ বছর বয়সে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেছিলেন পরপারে।